তেহরানের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নির্ধারণে হস্তক্ষেপ করতে চায় ওয়াশিংটন — এমন অভিযোগ তুলে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির কঠোর সমালোচনা করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। আলোচনার নামে নিজেদের এজেন্ডা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে ট্রাম্প প্রশাসন, এমন মন্তব্য করে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি।
রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার মধ্যেই ইরানকে শান্তি চুক্তির প্রস্তাব দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দীর্ঘদিন ধরে হুমকি-পাল্টা হুমকিতে উত্তপ্ত সম্পর্কের পরও এবার খানিকটা নমনীয় অবস্থান নেন ট্রাম্প।
ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্ককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে আয়াতুল্লাহ খামেনিকে তিনি চিঠি পাঠিয়েছেন। ট্রাম্প বলেন, "আমি আশা করি, তারা আলোচনায় বসবে। কারণ এটি ইরানের জন্য ভালো হবে। তবে যদি তারা অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে বিষয়টিতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হবো।"
তবে এই প্রস্তাবে মোটেও সাড়া দেননি আয়াতুল্লাহ খামেনি। সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, "আলোচনার নামে তারা আমাদের ওপর নিজেদের ইচ্ছা চাপিয়ে দিতে চায়। আসুন আলোচনায় বসি — এর মানে হলো, তারা যা চায়, তা মানতে বাধ্য করা।"
খামেনি আরও বলেন, "এখন আর শুধু পারমাণবিক ইস্যু নয়, তারা আমাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা, অস্ত্র উৎপাদন এমনকি কাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবো — তাও ঠিক করে দিতে চায়। এটা কি কারও জন্য মেনে নেওয়া সম্ভব?"
ইউরোপের প্রতিও ক্ষোভ প্রকাশ করেন খামেনি। ইরানের বিরুদ্ধে পরমাণু চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ আনা দেশগুলোর দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, "ইউরোপ কি তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রেখেছে?"
ইরান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে — তারা কোনো চাপের কাছে মাথা নত করবে না, বরং নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কঠোর অবস্থানেই থাকবে।